বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
মেঘনাপোষ্ট ডেস্করিপোর্ট :
একমাত্র ছেলে নাঈমকে হারিয়ে এভাবেই আহাজারি করছিলেন বাবা নান্টু মিয়া। তার আহাজারিতে যেন ভারি হয়ে উঠেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট প্রাঙ্গন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের কাছে বিলাপ করছিলেন নান্টু মিয়া।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ”আমার বাবা (নাঈম) রাত সাড়ে ৯টায় সময় ফোন করছিল। ও বলছিল, ‘বাবা, মার্কেটে আগুন লাগছে। আমরা আটকা পড়ছি, আমাকে উদ্ধার করো।”
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুনে নিহতদের মধ্যে নাঈম আহমেদও (২২) রয়েছেন। তার বাবা নান্টু মিয়া পেশায় দিনমজুর। বাড়ি বরগুনার বড় গৌরিচেনা গ্রামে।
ছেলেকে হারিয়ে তিনি এখন পাগলপ্রায়।
সকালেই বরগুনা থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
নাঈম সে সময় তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ভবনের সাত তলার ছাদে আটকা পড়েছেন।
তিনি ফোনে নাঈমকে নিচে নামতে নিষেধ করে ছাদের ওপরই থাকতে বলেন। তখনই ফোনটি কেটে যায়। এর পর সারারাত ফোন করলেও নাঈমের ফোনে কল ঢোকেনি।
দুই ভাই—বোনের মধ্যে নাঈম বড়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খরচ জোগাতে